মুখের দুর্গন্ধ কি কারনে হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
আজকে জানবো মুখের দুর্গন্ধ বন্ধ করার উপায়। খুব সহজ ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করব কি কারনে মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং কি করলে মুখে দুর্গন্ধ বন্ধ হয়ে যাবে তো চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।
মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধ
আমাদের মুখের ভেতর অংশটা সাধারণত ভেজা থাকে কারণ সারাক্ষণই মুখের ভিতরে লাল আসতে থাকে। এই মুখের লালা আমাদের বেশ কয়েকটি উপকার করে। মুখ পরিষ্কার করতে এরা সাহায্য করে। মুখের ছোট ছোট খাদ্যকণা দূর করতে সাহায্য করে। যেসব কারণে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ হয় সেসব সরিয়ে ফেলে এই মুখের লালা। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ যদি মুখে লালা না থাকে তখন মুখ শুকিয়ে যায় আর যার ফলে মুখে থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। আপনি প্রতিদিন সকালবেলা খেয়াল করবেন আমাদের মুখে যে একটু দুর্গন্ধ হয় হওয়ার কারণ আমাদের মুখ শুকিয়ে থাকার কারণে। কারণ ঘুমিয়ে গেলে মুখে খুব কম পরিমাণ লালা এসে থাকে।
মুখ যাতে শুকিয়ে না যায় কয়েকটি মাধ্যম
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন শরীরে যদি পানিশূন্যতা হয়ে থাকে মুখের লালার পরিমাণ কমে যায়। অনেক বেশি চা-কফি খাবেন না এগুলো খেলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। এমন খাবার খাবেন যেগুলো বেশি বেশি করে চাবাতে হয় যেমন শসা গাজর আপেল এই গুলো চাবালে মুখে লালা আসবে। চিংগাম খেতে পারেন এতে মুখের লালা আসবে চিনি ছাড়া যে চিংগাম পাওয়া যায় সেগুলো খাবেন।
অস্বাস্থ্যকর খাবার কারণে মুখে দুর্গন্ধ
আমরা যা খাচ্ছি তা অনেক ভাবে মুখের দুর্গন্ধ হতে সাহায্য করে থাকে। চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলবেন। কেন বুঝিয়ে বলি, চিনি আছে, আপনি যখন এমন কোন খবার খান দাঁতের উপরে চিনিযুক্ত খাবারেন কণা লেগে থাকে সে চিনি হজম করার জন্য কাজে লেগে থাকে আমাদের মুখে থাকা অসংখ্য ব্যাকটোরিয়া ঠিক ঐ সময় দেখা যায় আমাদের মুখে এক প্রকারের এসিড তৈরি হয়। ওই যে এসিড তা দাঁত কে আক্রমণ করে বারবার এরকম হতে থাকলে দাঁতের বাইরের আবরণ ক্ষত হতে থাকে। যার ফলে দাতে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয় । এখন ছোট গর্ত দুর্গন্ধ তৈরি করে এমন জীবাণুগুলো লুকিয়ে থাকার জায়গা পেয়ে যায়। তারপর সে জীবাণুগুলোকে দাঁত ব্রাশ করলেও ধ্বংস করা যায় না । যার ফলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
চুল জন্য কোন কদুর তেল ভালো
অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস থাকলে আরেকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে অপুষ্টি শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
মুখের ভিতর পরিষ্কার না করলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়
মুখের ভিতরে ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। মুখের ভেতর পরিষ্কার না করলে ছোট ছোট খাদ্যকণা মুখের ভিতর আটকে থাকে যেমন দুই দাতের মাঝখানে, মারি এবং দাঁতের মাঝখানে আমাদের মুখের ভিতরে যে জীবাণুগুলো গুলো থাকে সেগুলো তখন কোনায় কোনায় আটকে থাকা খাদ্যকণা ভাঙতে শুরু করে সেখান থেকে কেমিক্যাল সৃষ্টি হয় যা থেকে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই মুখের ভিতরটা খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। কিভাবে করবে ৪ টি উপায়ের কথা বলতেছি।
বাঁশ খেল কি কি উপকার হয়
প্রথমটি সবাই জানে কিন্তু জানা সত্ত্বেও মাঝে মাঝে আমরা করি না। সেটা হলে প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করা। কমপক্ষে 2 মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করবেন।
দুই নাম্বার হচ্ছে দুই দাতের মাঝখানে পরিষ্কার করা যা সচরাচর আমরা করিনা। দেখা যায় অনেক সময় দুই জাতের মাঝখানে মাংস আটকে অথবা শক্ত জাতীয় খাবার আটকে গেলে তখন আমরা খিলাল দিয়ে পরিষ্কার করি তাছাড়া কিন্তু তোমন ভাবে দুই দাঁতের মাঝখানের পরিষ্কার করি না। আমরা প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলে দুই দাতের মাঝখানে পরিষ্কার করি না। কারণ টুথব্রাশ দুই দাতের মাঝখানে পৌছাতে পারেনা। ফলে এখানে খুব ছোট ছোট খাবারের টুকরা আস্তর জমে যায় যার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি আরও দুটি কাজ করতে পারেন জিব্বা পরিষ্কার করা, মাউথওয়াশ ব্যবহার করা। আমাদের জিব্বায় বিশেষ করে পিছনের দিকে ব্যাকটোরিয়া জমে গিয়ে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। দিনে একবার আলতো করে করে জিব্বা পরিষ্কার করবেন।
ধূমপান কারণে মুখে দুর্গন্ধ
ধূমপান করার কারণে অনেক ধরনের ক্ষতির পাশাপাশি এটা কয়েক ভাবে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করে। তামাক থেকে দুর্গন্ধ আসে এবং তামাক খেলে মুখ শুকিয়ে যায় আবার যারা ধূমপান করে তাদের মুখের মারিতে রোগের হওয়া সম্ভাবনা থাকে সেখান থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে তাই আপনি যদি ধূমপান করে থাকেন আজকে থেকেই ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান ছেড়ে দিলে আপনার মুখের গন্ধ বন্ধ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে।
মুখের ভেতরে রোগের কারণে মুখে দুর্গন্ধ
মুখের ভিতরে যদি কোন রোগ থাকে যেমন দাঁত ক্ষয়,মাড়ির রোগ, সেজন্য মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। উপরে আমরা জানলাম কেমন করে দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি হলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ হয়। ঠিক মাড়ি ক্ষেত্রেও একই মাড়ির কিছু রোগে দুর্গন্ধ সৃষ্টি জীবাণুগুলো লুকানো ভালো জায়গা পেয়ে যায় আর মাড়ির রোগের সাধারণত ব্যথা হয়না তাই আমরা বুঝতেও পারিনা আমাদের বাড়িতে সমস্যা হচ্ছে বা রোগ আছে। কিন্তু মাড়ির রোগের কারণে একপর্যায়ে আমাদের সবগুলো দাঁত পড়ে যায়। সমস্যার শুরুতেই একজন ডাক্তার পরামর্শ নিতে পারেন। তাই নিজে নিজে চেষ্টা করার পরও যদি মুখে দুর্গন্ধ না যায় তাহলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন। তিনি বলে দিতে পারবেন আপনার দাঁত বা মাড়ির কোন রোগের কারণে মুখের দুর্গন্ধ হচ্ছে কিনা।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
মুখের দুর্গন্ধ ছাড়াও মাড়ি রোগের আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে যেমন মাড়ি থেকে যদি রক্ত পড়ে অনেকেই দাঁত ব্রাশ করে সময মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে আর আমরা সেটা তোকে একটা পাত্তা দিই না। কিন্তু এটা মাড়ির রোগের কারণে রক্ত পড়তে যার কারণে অকালে দাঁত পড়ে যেতে পারে। মাড়ি যদি ফোলা হয় মাড়ি যদি ব্যথা হয় দাঁত থেকে যদি মাড়ি সরে আসে, দাঁত যদি আলগা হয়ে আসে।
দাঁত মাড়ি ছাড়া অন্যান্য রোগের কারণে মুখের দুর্গন্ধ
নাকের ইনফেকশন, টনসেল রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, পাকস্থলীর সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে । কিছু অসুখের কারণে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে সেখান থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে যা চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়ে থাকবে।
দিন দিন চুল পড়ে যাচ্ছে করনি কি
এ ধরনের নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি এখনি লাইক দিয়ে সাথে থাকুন নতুন নতুন আপডেট পেয়ে যাবেন