পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে কবে
মূলত টেকটনিক প্লেট মুভমেন্ট এর কারণে প্যানজিয়া বিভক্ত হয় অসংখ্য স্থলভাগের সৃষ্টি হয়। তবে এই ঘটনা এক বা দুই দিনে হয়নি। 250 মিলিয়ন বছর আগে যখন প্যানজিয়া ভাঙ্গা শুরু হয় তখন পৃথিবীতে নেমে আসে এক মহা বিপর্যয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাণী বৈচিত্রে বিলুপ্তি ঘটে ওই সময়। এ বিপর্যয়ের ফলে তখন প্রায় 90 শতাংশ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যায়। প্রাণীজগতে দেখা যায় উল্লেখযোগ্য বিবর্তন।
কন্টিনেন্টাল ড্রিফট বা মহাদেশিয় বিচ্যুতি
প্রিয় দর্শক এ ভাবেই শত কোটি বছর ধরে মহাদেশে ভাঙ্গাচুরা মধ্য দিয়ে চলছে পৃথিবী আরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য ১৯১২ সালে alfred wegener কন্টিনেন্টাল ড্রিফট বা মহাদেশিয় বিচ্যুতি ধারনা দেন।এই থিওরি অনুসারে পৃথিবী ভূবাগগুলো ভাসমান অবস্থায় রয়েছে এবং এগুলো ক্রমেই পরস্পরের সাথে যুক্ত কিংবা বিযুক্ত হচ্ছে।
ডাইনোসর কত বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে
বিষয়টা আশ্চর্যজনক হলেও এই মহাদেশ বিচ্যুতি ফসল হিমালয়, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর মত গিরিখাত, ফ্রান্স ইতালি সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা বিস্মৃত পর্বতমালা এসব কিছুই আফ্রিকা ও ইউরোপের টেকটনিক প্লেট সংঘর্ষে তৈরি হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয় গ্র্যান্ড কেনিয়া যেমন একটি টাইম মেশিন আর পড়তে পড়তে রয়েছে কালের বিবর্তনের প্রমাণ।
প্যানজিয়া পরবর্তী পৃথিবী
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার সংযোগকারী পাথরের অঞ্চলটি ১৭ মিলিয়ন বছর গঠিত হয় যার ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়। আন্টার্টিকা প্রশান্ত মহাসাগর মধ্যে পানির মুক্ত প্রবাহ বন্ধ হয় এবং দুই অঞ্চলে ভৌগলিক পরিবেশ ও জীবকুলের মাঝে পার্থক্য গড়ে ওঠে। এই ভৌগলিক বিবর্তন কিন্তু থেমে নেই ঠিক তেমনি ও টেকটোনিক প্লেটও একটা সুনামি বা সিডরি প্রকৃতির কাছে আমাদের অসহায়তা বুঝিয়ে দেয়।
কন্টিনেন্টাল ড্রিফট থিওরি এর মধ্যে ভূখন্ডগুলো তো সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে আবার পৃথিবীর হচ্ছে গোল সমতল নয়। যে কয়েকটি জায়গা থেকে মহাবিশ্ব বিচ্যুতি লক্ষ করা যায় এরমধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। উত্তর আমেরিকা ও ইউরেশিয়া প্লেট ঠিক আইসল্যান্ডের মাঝখানে অবস্থিত। GPS মাধ্যমে ঐ জায়গার অবস্থান ম্যাপে দেখা গেছে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ আড়াই সেন্টিমিটার করে একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি বছরে প্রায় 1 ইঞ্চি করে। এক শতাব্দী পর ইউরোপ ও আমেরিকা পরস্পর থেকে ৮ ফুট দূরে সরে যাবে ।
পৃথিবীর মহাদেশ গুলো কি আবার একসাথে হয়ে যাবে
যেভাবে পৃথিবীর মহাদেশের বিচ্যুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এমন করে যদি মহাদেশগুলোর সঞ্চারিত হতে থাকে তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, পৃথিবী যেহেতু গোলাকার তাই যদি একদিক থেকে প্রসারন শুরু হয় তাহলে লক্ষ লক্ষ বছর পর প্রসারিত হতে হতে ঠিক বিপরীত দিকে গিয়ে আবার মিলিত হওয়ার কথা। একটি পৃষ্ঠে শুরু হলে অপর পৃষ্ঠে মিলিত হতে হবে নতো কোথায় বা সঞ্চারিত হবে কন্টিনেন্টাল ড্রিফট জিনিসটা এইরকম এটি যুগের পর যুগ চলতে থাকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান জাতি কারা
এক সময় ভারত অস্ট্রেলিয়া আফ্রিকা একসাথে ছিল এবং একসময় আবার দূরে চলে গেছে আবার একটা সময় আসবে যখন পুনরায় ভারত অন্য অংশের সাথে জড়িত হবে। তবে প্রথম বার যে পৃষ্ঠে মিলিত ছিল পরে বার কিন্তু সেই পৃষ্ঠে সাথে মিলিত হবে না। পরেরবার ঠিক বিপরীত পৃষ্ঠে মিলিত হবে। একথে মেশার পর পরে আবার বসে থাকে না পুনরায় আবার সঞ্চারিত শুরু হবে এই ভাবে চলতে থাকে। জিনিসটা এমন যেহেতু পৃথিবী গোল এবং সসীম তাই এক দিক থেকে মহাবিশ্বে প্লেটোর মাঝে দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে অন্যদিকে দূরত্ব কমে আসে। যেমন আমেরিকা এবং আফ্রিকা পরস্পর থেকে দূরের সরে যাওয়ার ফলে আটলান্টিক মহাসাগর ক্রমে আকারে বড় হয়ে চলেছে।
আবার অন্যদিকে আমেরিকা যেদিক থেকে সরে যাচ্ছেসে সেই দিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ক্রমে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। আগে কোন কোন জায়গা ছিল উঁচুতে এখন তার নিচে হয়ে গেছে আবার কোন কোন জায়গা নীচে ছিল কিন্তু উঁচু হয়ে গেছে এখন। একসময় যা সাগরের তলে ছিল এখন তা পানির উপরে চলে এসেছে। অর্থাৎ এরকম করে যে দুটি স্থানে একসাথে ছিল তা এখন দূরে চলে গেছে আবার যে দুটি স্থান দূরে ছিলো তা এখন এক সাথে। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ এক পেন্ডুলাম। যা একবার এদিকে আবার পুনরায় অন্যদিকে ফিরে আসতেছে তাই যে প্যানজিয়া বিভক্ত হয়ে এত মহাদেশ সৃষ্টি হয়েছে কে জানে হতো এক সময় আবার সেগুলো একসাথে হয়ে যেতে পারে।
এ ধরনের নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি এখনি লাইক দিয়ে সাথে থাকুন নতুন নতুন আপডেট পেয়ে যাবেন