পেটের মেদ বা চর্বি কমাতে এই অভ্যাসগুলো পরিহার করুন ।

এই পোস্ট থেকে জানবো পেটের চর্বি বা মেদ জমার কারণ এবং কিছু আশ্চর্যজনক অভ্যাসের  কারণে  আমাদের পেটের চর্বি বা মেদ জমে থাকে। যদি আপনার নিচে অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পারেন তা হলে ওজন কোনরকম  বাড়া সম্ভব নয় বরঞ্চ ওজন কমবে।  

পেটের মেদ কমানোর উপায় পেটের মেদ কমানোর উপায় ঔষধ পেটের মেদ কমানোর উপায় ব্যায়াম পেটের মেদ কমানোর উপায় কি পেটের মেদ কমানোর উপায় ভিডিও পেটের মেদ কমানো উপায় মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর উপায় মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

পেটের মেদ কমানোর উপায়

যেই ছোট ছোট অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেদ বা চর্বি জমিয়ে তোলে এরকম দশটি অভ্যাসের কথা আজকে উল্লেখ করব। এরকম কিছু অভ্যাস হয়েছে যা আপনি শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবে এবং কিছু অভ্যাস আপনার জানা থাকতে পারে।  


তাই আপনি যদি আপনার পেট মেদ বাড়াতে না চান তাহলে আজকে থেকে এই অভ্যাসগুলো পরিহার করুন। 

পেটে চর্বি কমানোর উপায়

পেটের মেদ বা চর্বি কমানোর উপায়

কোন বেলা খাবার বাদ দেওয়া  

পেটের চর্বি বেড়ে যায় বলে অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে একবারে দুপুরে খাবে বলে এ ধরনের অভ্যাস গড়ে তোলে অথবা চিন্তা ধারণা করে এ ধরনের চিন্তাধারা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসুন। কেননা আমরা যদি সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দেই পরবর্তী বেলায় খাবার খেতে গেলে তার চেয়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলি।  তাই ওজন বাড়ার বা পেটের মেদ বা চর্বি জমার প্রবণতা বেড়ে যায় তাই এই অভ্যাসটি বাদ দিন। 


আনমে খাওয়া 

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়

অনেক সময় আমরা দেখা যায় টিভি সিরিয়াল বা খেলাধুলা টিভিতে দেখার সময় খাবার খেতে থাকি  বা অন্য কিছু দেখতে দেখতে খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে পেটে মেদ বা ভুঁড়ি জামার সম্ভাবনা থাকে। কিভাবে জমে একটু বুঝিয়ে বলি,  সমস্যাটা টিভি বা নাটকের নয় সমস্যাটা হচ্ছে খাবারের আপনি যখন আনমনে খাবার খাচ্ছেন তখন আপনি কতটুকু খাচ্ছেন তা পরিমাপ করা যায় না কারণ আপনি অন্য কাজে মনোযোগ দিয়ে খাবার খাচ্ছেন। তাতে পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলার কারণে পেটের চর্বি বা মেদ জমে থাকে। 


মানসিক চাপ 

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ বা বেশি দুশ্চিন্তা কারণে পেটের মেদ বা চর্বি জমে থাকে এটি হয়ে থাকে কয়েকভাবে আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভোগি তখন আমাদের শরীরে কটোসন নামে একটি হরমোন তৈরি হয়  এই হরমোনটি বাড়লে অতিরিক্ত  চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগতে পারে। ওজন বা পেটের মেদ চর্বি বাড়াতে কটোসন প্রভাবে এখানেই শেষ নয় আর তিনটা কাজ সে করে ( ১)শরীরের অন্যান্য জায়গায় পিঠ,উরু এ সমস্ত জায়গা চেয় পেটে চর্বি সবচেয়ে সাহায্য করে। (২) আরেকটা হরমোনকে সে বারিয়ে দেয় যে হরমোনটি আমাদের বেশি করে ক্ষুধা অনুভব করায়। (৩) আরো একটি হরমোন কমিয়ে দেয় সেই হরমোনটি কারণে আমাদের পেটে ভরা অনুভব করায়। মোটকথা এই দুশ্চিন্তার কারণে পেটে চর্বি জমতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পছন্দের কাজ প্রয়োজন হলে মানসিক স্বাস্থ্য ডাক্তার কে দেখিয়ে চিকিৎসা নিন দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য। 

ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়

খারাপ ঘুমের অভ্যাস 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে কম ঘুমের কারণে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি বাঁড়ার সম্পর্ক রয়েছে  এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আপনি যখন রাত জাগেন  তখন কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করে পারে ঘুমিয়ে থাকলে তো এই অতিরিক্ত খাবার খেতে হতো না। আবার রাত জেগে কাজ করার সময় আমরা সাধারণত যে খাবারগুলো খাই সেগুলো স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে যেমন মুড়ি চানাচুর ভাজাপোড়া বেশি খেয়ে থাকি। যা পেটের চর্বি বাড়েতে সাহায্য করে। 

দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস 

আপনি যখন খাবার শুরু করেছেন সে খাবার পেটে যায় এবং পেটের সাথে মাথার ব্রেনের একটি কথা বার্তা হয়। পেট ভরেছে কিনা এটা ব্রেনের জানতে 20 মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে পারে। আপনি যদি দ্রুত খান ,বেশি খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে ,কারণ ব্রেইন হয় তো তত দ্রুত পেটের কাছ থেকে আপনাকে বলতে পারবেন না আপনার পেট ভরে গেছে। তাই সমাধান হচ্ছে  ধীরে ধীরে মনোযোগ দিয়ে খাবার খান। আর যদি খুব দ্রুত খেতেই হয় তাহলে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে খাবার প্লেটে নিয়ে খান ,খাওয়া শেষ করেন। 


বড় প্লেটে খাবার খাওয়া 

বড় প্লেটে খাবার খাওয়া

প্লেট মূল বিষয় না মূল বিষয় হচ্ছে আপনি পরিমাণে কতটুক খাচ্ছেন প্লেটটা একটু বড় হলে সাধারণত খাবার একটু বেশি প্লেটের নেওয়া হয়। আর আমরা সাধারণত প্লেটে যতটুক খাবার নেই ততটুক খাবার শেষ করে উঠি । সাধারণত প্লেটে খাবার থাকতে যদি পেট ভরে যায় তাহলে সে খাবারটা শেষ করে আমরা উঠার চেষ্টা করি ,বেশি খেলে তো অতিরিক্ত ওজন পেটের চর্বি জমবে। তাই ছোট প্লেট খাবার খান বা খাবার নেওয়ার সময় পরিমান মত  সেদিকে খেয়াল রাখবেন। 


সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাওয়া 

অনেক সময় দেখা যায় দাওয়াত খেতে গেলে আমরা পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলি  প্লেটে কেউ খাবার দিয়ে দিলে সেটা শেষ করে উঠার চেষ্টা করি।  আবার বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হয়ে গেলে পেটভরা থাকা পরেও  কিছু একটা অর্ডার দেওয়া হয়ে থাকে। এই অভ্যাসগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ অতিরিক্ত খেলে পেটের চর্বি মেদ জমবে। দাওয়াত আরেকটা প্রচলন খাবার হচ্ছে খাবার শেষে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া এক্ষেত্র খেয়াল রাখবেন হবে পরিমাণের বেশি খাওয়া না হয়। 


সাদা চাল সাদা আটা খাওয়া 

সাদা চাল সাদা আটা খাওয়া

সাদা চাল বা সাদা আটা তৈরি করার সময় ফাইবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান ফেলে দেওয়া হয়। ফাইবার আমাদের খাবার আস্তে আস্তে হজম করতে সাহায্য করে। ফাইবার ফেলে দেওয়ার কারনে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয়ে যায় রক্তের ব্লাড সুগার এর মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে  সাদা চাল সাদা আটার মধ্যে প্রক্রিয়াজাত শস্যদানা বেশি খাওয়ার কারণে  মেদ-ভুঁড়ি সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে লাল চাল বা ঢেকি ভাঙ্গা চাল তারপর লাল আটা এমন গোটা শস্যদানা খাদ্যের সাথে মেদভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ঢেকি ভাঙ্গা চাল লাল আটা  খেলে পেটের চর্বি মেদ হবার সম্ভাবনা কম থাকে। 

ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়াই পেটের চর্বি কমানোর উপায়

লো ফ্যাট বা ফ্যাট মুক্ত খাবার

লো ফ্যাট খাবারে পেটের মেদ ভুঁড়ি হতে পারে এটা শুনে আপনি একটু আশ্চর্য হতে পারে। কারন আমরা সাধারণত মনে করি লো ফ্যাট খাবার হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার এটা সত্য লো ফ্যাট খাবার স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে তবে সব ক্ষেত্রে না একটু ব্যাখ্যা করলেই বুঝবেন  একটি খাবার যখন লো ফ্যাট করা হয় তখন সেখান থেকে ফ্যাট সরিয়ে বা কমিয়ে ফেলে এতে খাবারটি অনেকের কাছে খুব সুস্বাদু মনে হবে না । খাবার যদি সুস্বাদু  কম হয় তাহলে বিক্রি হবে কম তাই সুস্বাদু করতে এবং বিক্রি বাড়াতে তখন ওই খাবারে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত করা হয় অতিরিক্ত চিনিতে অনেক ক্যালোরি থাকে যা পেটের চর্বি এবং মেয়াদ বাড়াতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই লো ফ্যাট খাবার কিনার আগে খাবারে চিনি আছে কিনা তা জেনে নিবেন। 

শুয়ে বসে থাকা 

শুয়ে বসে থাকলে যে চর্বি জমে শরীরে এটা সবাই জানে । তাই এটা নিয়ে বেশি কথা না বাড়িয়ে সমাধান কি জেনে নিন। সপ্তাহে মাত্র 30 মিনিট করে পাঁচদিন হাঁটলে এর সমাধান পেয়ে যাবেন এবং সাথে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে । রাতারাতি শরীরের চর্বি কমার আশা করবেন না। 


এই পোস্টে মাত্র কয়েকটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করলাম পরবর্তীতে আরে ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।


এ ধরনের নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি এখনি লাইক দিয়ে সাথে থাকুন নতুন নতুন আপডেট পেয়ে যাবেন

আরো জানুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url