গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকে জানতে পারবেন গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারিতা এবং কতটুক অপকারিতা করে। আমাদের অনেকের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে । গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় আপনি পুরো পোস্টটি পড়লে বুঝতে পারবেন আসলে কতটা অপকারিতা গরুর মাংস বা উপকারিতা রয়েছে।
আমরা অনেকেই মনে করি গরুর মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু প্রতিটা জিনিসে ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ও গরুর মাংস স্বাস্থ্যের উপকার রয়েছে এবং ক্ষতি করে রয়েছে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে এবং সঠিক উপায়ে গরুর মাংস রান্না করে খেতে পারে তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেকটাই উপকারিতা রয়েছে গরুর মাংস। আর আপনি যদি পেট ভরে শুধু খেয়ে যান তাহলে গরুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গরুর মাংসের উপকারিতা
গরুর মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা স্বাভাবিক তবে কিছু নিয়ম এবং গরুর কোন অংশের মাংস খেলেন ও কিভাবে রান্না করলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উপকারিতা আমরা জেনে নেই এখন :
গরুর মাংস তো এমন কিছু উপকারিতা রয়েছে যা অন্য কোন পুষ্টিকর খাদ্য বা ফলমূল থেকে নেওয়া সম্ভব নয়। গরুর মাংস প্রচুর পরিমাণ হাই কোয়ালিটি প্রোটিন রয়েছে যা অন্যান্য ফলমূল শাকসবজি সচরাচর খানাখাদ্য থেকে এ ধরনের প্রোটিন পাওয়াটা খুবই কষ্টকর। তবে কয়েক ধরনের খাবার একসাথে মিলিয়ে খেলে এধরনের পুষ্টিকর প্রোটিন পাওয়া যায়। আর এই প্রোটিন সহজে পাওয়ার জন্য গরুর মাংস খেতে পারেন। এই প্রোটিন আমাদের আমাদের শরীরের চুল ,ত্বক ,মাংসপেশি ,হার হরমোনসহ ,অনেক কিছু ঘঠন করার জন্য সাহায্য করে।
তারপরে গরুর মাংস তে রয়েছে ভিটামিন B12 যা আমাদের ব্রেন কে সুস্থ রাখে। তাছাড়া গরুর মাংস তে রয়েছে আয়রন যা নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। গরুর মাংস তে জিংক আছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এমন আরো অনেক গুলো ভিটামিন মিনারেল গরুর মাংস তে রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
গরুর মাংস অপকারিতা
গরুর মাংসের শুধু উপকারিতা না অপকারিতা রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য। গরুর মাংস বেশি খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে অনেকটাই। লক্ষাধিক মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর লাল মাংস খাওয়ার কারণে হৃদ রোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ১৮% বেড়েছে আর ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ১০% বেড়ে গেছে। আরো একটি গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি 12 শতাংশ বেড়ে গেছে। যত বেশি পরিমাণে লাল মাংস খাওয়া হয়েছে তত ঝুঁকি বেড়েছে।
এখন আপনার মনে হতে পারে তাহলে তে গরুর মাংস প্রচুর ক্ষতিকর কখোনই খাওয়া উচিত নয়। তবে এখানে একটা কথা আছে যে গবেষণাগুলো থেকে লাল মাংস খাওয়ার ক্ষতি সম্পর্কে জেনেছি সেগুলির নিশ্চিত করে বলে না যে গরুর মাংস খাওয়ার কারণে হূদরোগ ক্যান্সারের ডায়াবেটিস ঝুঁকি বেড়েছে। অন্য কারনেও এ ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। অর্থাৎ এখনো খুব শক্ত গবেষণা প্রমাণ আসেনি। তাই এসব গবেষণার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সংস্থা গুলো যেমন w.h.o. এনএইচএস আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন গরু বা খাসির মাংস খাওয়াতে একেবারে বাদ দিতে বলেনা পরিমাণটা কমিয়ে আনতে বলে।
এখন কথা কতটুক গরুর মাংস খাওয়া যাবে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ একদিনে ৮৫ গ্রামের বেশি খাওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গরুর মাংস কিভাবে রান্না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে এবং কমে।
গরুর মাংস কিভাবে রান্না করতে হবে এইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা গবেষণায় দেখা গেছে গরুর মাংস রান্না করার উপর নির্ভর করে ডায়াবেটিস ক্যান্সার একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। মাংস যখন আগুনে পোড়ানো হয় বা খুব বেশি তাপে রান্না করা হয় যেমন বারবিকিউ করা বা কয়ারাতে উচ্চতাপে ভাজা এতে ক্যান্সার তৈরি করে এবং কেমিক্যাল বেশি উৎপাদিত হয়। এই ভাবে রান্না করার কারণে ডায়াবেটিস ঝুঁকি বাড়েতে পারে। অর্থাৎ আগুনে পুড়িয়ে রান্না করা সময় খুব উচ্চতাপে রান্না করার চেয়ে অল্প তাপে মাংস রান্না করা উত্তম চিকিৎসা ও গবেষনা বলে।
গরুর মাংস কিছু সতর্কতা
- গরুর কলিজাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা গর্ভের শিশুর ক্ষতি করতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের গরুর কলিজা আমার নিষিদ্ধ
- যারা কোন রোগে ভুগছেন যেমন কিডনি রোগ তারা কতটুকু মাংস খেতে পারবেন ডাক্তার থেকে জেনে নিবেন।