Islamic Bank dual currency card ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার নিয়ম।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়ার নিয়ম।Islamic Bank dual currency card
আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন ইসলামী ব্যাংক থেকে কয় ধরনের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দেওয়া হয় এবং প্রতিটি কার্ডের খরচ এবং প্রতিটি কার্ড দিয়ে কত লেনদেন করতে পারবেন।
আজকে যে তিনটি ইসলামী ব্যাংকের কার্ডের তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে এই ৩ টি কার্ড আপনি চাইলে দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের বাইরে ব্যবহার করতে হলে আপনাকে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করে নিতে হবে। প্রতিটি কার্ডের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং লিমিট রয়েছে তার নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ইসলামী ব্যাংক থেকে কয় ধরনের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড নেওয়া যায়।
ইসলামী ব্যাংক থেকে তিন ধরনের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দিয়ে থাকে । এছাড়া এ কার্ডগুলো আপনি বাংলাদেশের যে কোন এটিএম বুথ ব্যবহার করতে পারবেন।
- গোল্ড ডেবিট কার্ড (ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড ) gold Debit Visa Card
- প্রিপেইড কার্ড (ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড ) prepaid Visa card
- ডেবিট প্লাটিনাম কার্ড (ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড ) debit Platinum Visa Card
এই তিন ধরনের কার্ড ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি নিতে পারবেন। এই তিন ধরনের কার্ড আপনি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড হিসেবে ডলার এনডোর্স করে ব্যবহার করতে পারবেন। এই তিন ধরনের কার্ড নিতে হলে কি করা লাগবে তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ইসলামী ব্যাংক গোল্ড ডেবিট কার্ড। Islamic Bank gold debit card
ইসলামী ব্যাংকের গোল্ড কার্ড নিতে হলে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট ব্রাঞ্চে চলে যেতে হবে যে ব্রাঞ্চে আপনি একাউন্ট খুলছেন। নিচ থেকে ইসলামীক ব্যাংক গোল্ড ডেবিট কার্ডের সম্পকে আলোচনা করা হলো :
- কার্ড ইস্যু ফি- ফ্রী
- কার্ড নবায়ন ফি - ৫০০
- কার্ডের বার্ষিক ফি -৫০০
- কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি- ৫০০
- যেকোনো ব্রাঞ্চ থেকে আপনি ডলার এন্ডোস করতে পারবেন।
- গোল্ড ডেবিট কার্ডটি আপনি বিদেশে গিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
- এটিএম এর মাধ্যমে একদিনে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক ব্যালেন্স চেক এসএমএস
ইসলামী ব্যাংক ভিসা ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড Islami Bank dual currency prepaid card
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড তাৎক্ষণিক ভাবে যেকোন শাখা উপশাখা থেকে আপনি নিতে পারবেন। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাও থাকে তাহলে আপনি এই কার্ডটি নিতে পারবে সেজন্য আপনাকে সেলফিন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
এই কার্ডে সর্বোচ্চ ১২০০ ডলার এক বছরের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রতিদিন 300 ডলার বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না।
- প্রিপেইড কার্ড ইস্যু ফি - ফ্রী
- বার্ষিক ফি - ফ্রী
- কার্ড নবায়ন ফি -ফ্রী
- কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি- ২০০
- কার্ড লোড ফি- ফ্রী
- ডলার এনডোর্স করার জন্য যে শাখা থেকে প্রিপেইড কার্ড নিবেন সেই শেখা থেকেই ডলার এনডোর্স করতে হবে।
- যেকোনো এটিএম বুথ থেকে দৈনিক এক লাখ টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবেন না ট্রানজেকশন সর্বোচ্চ 20 বার।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং কি কি লাগবে ??
ইসলামী ব্যাংক প্লাটিনাম ডেবিট কার্ড Islami Bank Platinum debit card
ইসলামী ব্যাংক প্লাটিনা ডেবিট কার্ড আপনাকে নিতে হলে আপনার নির্ধারিত একাউন্ট ব্রাঞ্চ অনুযায়ী কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে কার্ড আবেদন করার পর ২৫/৩০ দিনের মধ্যে কার্ড ব্রাঞ্চে চলে আসবেন। ব্যাংক থেকে কল দিয়ে অথবা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংকে প্লাটিনাম ডেবিট ভিসা কার্ড মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনে পেমেন্ট সহ বাংলাদেশের সকল এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে এছাড়া গ্রাহক বাহিরের দেশ থেকেও টাকা উত্তোলন করতে পারবে। গ্রাহক এক বছরের মধ্যে 12 হাজার ডলার ব্যবহার করতে পারবে। দিনে সর্বোচ্চ 300 ডলার ইউজ করতে পারবে।
- প্রিপেইড কার্ড ইস্যু ফি - ৬০০
- বার্ষিক ফি - ৬০০
- কার্ড নবায়ন ফি -৬০০
- কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি- ৬০০
- ইসলামী ব্যাংক ডেবিট প্লাটিনাম ভিসা কার্ড এক্সট্রা ভাবে কোন লোড করতে হয়না ডলার। একাউন্টে টাকা থাকলে সেই টাকা ডলার কনভার্ট হয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে যাবে।
- ডলার এনডোর্স করার জন্য যেকোন শাখা থেকেই পাসপোর্ট নিয়ে ডলার এনডোর্স করতে পারবেন।