গ্রাফিক ডিজাইন শেখার নিয়ম। গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখব
খুব দ্রুত এবং সহজে গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখবেন
ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্টারনেট যুগের বিভিন্ন কোম্পানিকে আকর্ষণীয় করে অনলাইনে উপস্থাপন করেন তারা তাদের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে নানা বিষয় উপস্থাপন করে থাকে। তাই গ্রাফিক ডিজাইন (graphics designing) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য বেশ কয়েকটি কারণে চাহিদা তৈরি হয়েছে। আর আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীল গুন থাকে টেকনোলজি সম্পর্কে যদি আপনার ন্যূনতম জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন গ্রাফিক ডিজাইন।
সত্যিকারের বলতে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন শিখে নিজের ক্যারিয়ার এবং যথেষ্ট পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব। প্রায় সকল দেশেই গ্রাফিক ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তাই আজকে এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন গ্রাফিক ডিজাইন কি, কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেন, কিভাবে আয় করবেন সমস্ত বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন কি
আমাদের দৈনন্দিন চলার পথে নানা ধরনের কর্মক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন দেখে থাকি এই গ্রাফিক ডিজাইন এর মধ্যেই পড়ে প্রডাক্ট প্যাকেজিং, বিজ্ঞাপন, ছবি এডিটিং, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। এটি এমন একটি প্রতিযোগিতামূলক ইন্ডাস্ট্রি যেখানে চাহিদা সব সময় থাকবে। কারণ বিভিন্ন কোম্পানি কার থেকে কে এগিয়ে থাকবে এর জন্য মার্কেটিং এর বিজ্ঞাপন মাধ্যমে তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। আর মার্কেটিং বিজ্ঞাপন দিয়ে টিকে থাকতে হলে তাকে আকর্ষণীয় ডিজাইন ব্যবস্থা করতে হবে আর এই ডিজাইন এর মধ্যেই পরে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং আরো নানা ধরনে কাজ রেছে নিচে তুলেধরা হয়েছে।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার উপায় ??
আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন উপর আগ্রহ থাকে তাহলে এটা শেখার জন্য আপনি যে পদক্ষেপ নিতে পারেন তাপ বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো
গ্রাফিক ডিজাইন প্রদান নীতিমালা
গ্রাফিক ডিজাইন হলো এক ধরনের ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন টুলস। এর মাধ্যমে বার্তা প্রচার এর জন্য টাইপোগ্রাফি, গ্রাফিক্স, কালার, এবং ইলাস্ট্রেশনের ব্যবহার এর সংযুক্ত করা লাগে। গ্রাফিক ডিজাইনের কতগুলো মূল নীতি রয়েছে যা গ্রাফিক ডিজাইনারকে অবশ্যই মেনে চলতে হয়
1: কালার
2: ব্যালেন্স
3: রিপিটেশন
4: প্রক্সিমিটি
5: অ্যালটমেন্ট
6: স্পেস
7: হায়ারার্কি
ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো উপর ধারণা থাকা নিশ্চিত করে যেকোনো গ্রাফিক ডিজাইনের কলাকৌশল। এই মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়া আরও কিছু বিষয় রয়েছে টাইপোগ্রাফি কালার ও থিওরির মতো অন্যান্য উপাদান গুলো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, আপনার সৃজনশীল কিভাবে সাজানো হয়েছে তার সাথে মানুষেরা কিভাবে উপলব্ধি করে এবং কিভাবে তা মেসেজিংকে প্রবাহিত করে তার নির্ণয় করে। এখন আপনি এই ধারাগুলোকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন আপনি গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কতটা প্রস্তুত রয়েছেন।
গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স
graphics designing সম্পর্কে স্বাভাবিক প্রতিভা ও জ্ঞান থাকলেই যে আপনি সফলভাবে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে পারবেন তা কিন্তু ভুল ধারণা। আপনার কাছে গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনি এখন গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে একটি কোর্স করে নিতে পারেন। একটা সম্পূর্ণ গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন ইতিহাস, শৃঙ্খলা বিভিন্ন বিভাগ, উপবিভাগ ডিজাইনিং পিছনে থাকা সকল কার্যকলাপ,এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন অনলাইন থেকে শিখতে পারবে আপনি চাইলে। অনলাইন থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার কোর্স লিংক দেওয়া হলো
উপরে ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনার কোর্স গুলো করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে বিনামূল্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে পারেন। তবে ইউটিউব থেকে আপনি শিখতে চাইলে কোর্সগুলোর মত অধ্যাপকের সাহায্য পাবেন না। এছাড়া আপনি ইউটিউব থেকে যা শিখছেন তা অনুশীলন করার জন্য আপনাকে নিজের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি আপনি প্রাথমিক দিকে টাকা খরচ করতে না চান তাহলে ইউটিউব দেখে কাজ শেখা শুরু করতে পারেন।
ডিজাইন প্রোগ্রামগুলো রপ্ত করার সহজ উপায়
বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য যেসব ডিভাইস,বিভিন্ন অ্যাপ প্রয়োজন হয় সেগুলো শেখাটা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে অ্যাডোব ক্রিয়েটিভ ক্লাউড, ফটোশপ,বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ডিজাইনের কাজ করতে হবে সেজন্য আগে থেকে গ্রাফিক ডিজাইন অ্যাপ সম্পর্কে ধারণা নিন এবং লোগো,পোস্টার,ইত্যাদি বিভিন্ন ডিজাইন শিখেন। প্রয়োজনীয় ডিজাইন গুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার ক্লায়েন্টের সাথে ডিল করতে পারবেন।
সেরা চারটি ডিজাইন প্রোগ্রামার।
Adobe lllustrator
Adobe lllustrator এই ভেক্টর প্রোগ্রামের মাধ্যমে পেড টুল ব্যাবহার করে স্ট্রাকচার করা ও আঁকা যায়। এ টুলের মাধ্যমে লোগ আইকন ও ইলাস্ট্রেশনের তৈরি করতে দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে প্রতিটা গ্রাফিক রিপ্রোডিউস করা যায়।
Adobe indesign
Adobe indesign এই টুল ডিজিটাল একটি টুল এর মাধ্যমে ডিজাইন এবং প্রিন্ট করা যায়। এই টুল ইলাস্ট্রেটরের সাথে একসাথে কাজ করে। ইন্ডাস্ট্রি অনুযায়ী এটা একটি মাল্টি পেজ ডকুমেন্ট মাস্টার পেজ, প্যারাগ্রাফ স্টাইলে তৈরি করার জন্য এটি একটি দারুন প্রোগ্রামার টুল।
Adobe Photoshop
Adobe Photoshop এডোবি ফটোশপ এমন একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে ডিজাইনার, ডেভলপার ফটোগ্রাফারা খুব সহজে ব্যবহার করে থাকে। Adobe Photoshop প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্যই হলো ইমেজ অপটিমাইজ, এডিটিং, কম্পোজিশন ইত্যাদি তৈরি করতে সাহায্য করে।
sketch
sketch অত্যাধুনিক ডিজাইনারদের টুল যা বেসিক ইমেজ এফেক্টর এর সাথে ভেক্টরকে একত্রিত করে কাজ করে। যে কারণে এই টুল ওয়েবসাইট ও অ্যপ ডিজাইন এ টুল ব্যবহার করা হয়।
সামাজিক ডিজাইনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন
আপনাকে কোর্স করার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিজাইনারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। কেন না বর্তমান সময়ের ফিল্ডে কাজ করে এমন ডিজাইন দের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। linkedin,facebook ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ অনেক গ্রুপ,পেজ রয়েছে, এ ধরনের কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পারলে ডিজাইন সম্পর্কে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর থাকলে গ্রুপ অথবা কমিউনিটি থেকে জেনে নিতে পারবেন।
সব সময় অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে
নতুন কিছু শিখতে গেলে অনুশীলন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রথমদিকে যে সময়ে নতুন শিখবেন তখন ভুলে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। তাই বার বার প্র্যাকটিস করলে ভুলার সম্ভাবনা কম থাকে।
গ্রাফিক ডিজাইন চাকরির মাধ্যমে আয়
ভারত গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে চাকরি করা লোকেরা প্রথমদিকে ২৫০০০ থেকে ৩০০০০ হাজার মাসে পাচ্ছে। এছাড়া আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এক্সপেরিয়েন্স এর উপর আপনার মাসিক বেতন বাড়তে পারে পরবর্তীতে। অভিজ্ঞ একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ বেতন পাচ্ছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের গ্রাফিক ডিজাইন থেকে
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম যেরকম খুশি সেরকম কাজ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে যেমন logo design, social media লোগ ডিজাইন, এছাড়া অনলাইনে কাজ করার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন।