বিটকয়েন কি ভাবে কাজ করে-বিটকয়েন কি-বিটকয়েন এর সুবিধা অসুবিধা
আজকে আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে জানবো। বিটকয়েন কি, Bitcoin কিভাবে কাজ করে এবং বিটকয়েনের সুবিধা অসুবিধা, Bitcoin কোথায় থেকে আবিষ্কার হলো। এ সম্পর্কে আলোচনা করব আপনি যদি বিটকয়েন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন অবশ্য এ পোস্টটি পড়লে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
বিটকয়েন কি What is Bitcoin or cryptocurrency
ভার্চুয়াল মুদ্রা কে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মুদ্রা অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি। যেহেতু 18 দশকে এই মুদ্রার কোন অস্তিত্ব ছিল না। তাই ভার্চুয়াল মুদ্রা কে ডিজিটাল মুদ্রা বলা হয়। ডিজিটাল মুদ্রা অথবা cryptocurrency মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হলো বিটকয়েন। যা বিশ্বজুড়ে বর্তমানে এক হাজারেরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো বিটকয়েন যারা সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে BTC(Bitcoin)।
বিটকয়েন কোন মুদ্রা বা কারেন্সি নয়। এটি মূলত কম্পিউটারে তৈরি একটি অ্যালগরিদম যা শুধু অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করা যায়। বিটকয়েনের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে 1 সতোশি। 100 কোটি সতোশি একসাথে যোগ করে ১ বিটকয়েনের সমান হবে। বর্তমানে বিটকয়েনের নির্দিষ্ট কোন মূল্য নেই বিট কয়েনের মূল্য ক্রমাগতভাবে হ্রাস বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার মূল্য বর্তমানে 1 bitcoin = 19190$ dollar,
বিটকয়েন কে আবিষ্কার করেন। Discovered Bitcoin.
বিটকয়েন কে তৈরি করেছে তা জানার আগে আপনাকে প্রথম বিটকয়েন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। বিটকয়েন কে আবিষ্কার করেছে এখন পর্যন্ত গোপন রহস্য মতো অজানা রয়ে গেছে।
২০০৮ সালে হোয়াইট পেপারে সতোশি নাকামোতো এক গ্রুপে অনলাইনে পোস্ট করেন বিটকয়েন সম্পর্কে। সেই পেপারে শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং কম্পিউটার সাইন্স নয়, কিভাবে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অর্থ তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া ছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সি অথবা বিটকয়েন ছিল কম্পিউটার সায়েন্সের একটি নতুন পান্তা। যার মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে third-party কাউকে ব্যবহার করতে হয় না। দাতা এবং গ্রহীতা দুইজনের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে third-party মতো ব্যাংকগুলো ছাড়াই।
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে How Bitcoin Works
বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি সাধারণত P2P মাধ্যমে লেনদেন করে থাকে। বিটকয়েন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়৷ তাই যেকোন কেউ যে কোন মুহূর্তে যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সাথে লেনদেন করা যায়। বিটকয়েন তৈরির উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিসেন্ট্রালাইজড পেমেন্ট ব্যবস্থা করা। বিটকয়েন লেনদেনের প্রধান উপাদান হলো ব্লকচেইন যা প্রতিটি লেনদেনের তথ্য দেখতে পারে কিন্তু এটি কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
Bitcoin মাইনিং রিগ, নামে স্পেশাল কম্পিউটার দিয়ে প্রতিটি লেনদেনের তথ্য এবং রেকর্ড ভেরিফাই করা হয় । বিটকয়েন প্রচলন শুরুর দিকে যে কোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারী বিটকয়েন মাইনিং করা যেত। কিন্তু বর্তমানে বিটকয়েন মাইনিং করতে হলে শক্তিশালী কম্পিউটার প্রয়োজন হয়। ২০০৯ সালে যে কম্পিউটার দিয়ে মইনিং করা যেত বর্তমানে সে কম্পিউটারের চেয় 12 ট্রিলিয়ন গুন পাওয়ারের কম্পিউটার লাগবে মাইনিং করতে। কম্পিউটারের পাওয়ার ব্যবহার করে বিটকয়েন মাইনিং করা হয়। বিটকয়েন মাইনিং লটারি সাথে তুলনা করা হয়। লটারি যেমন একসাথে অনেকে কিনে পুরস্কার সিরিয়াল অনুযায়ী ১০ জন বা নিয়ম অনুযায়ী পায় । ঠিক তেমনি মাইনিং একই ক্ষেএ মাইনিং আনেকই করে কিন্তু পুরস্কার পায় সীমিত সংখ্যক লোক। বিটকয়েন মাইনিং মূলত বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যে কেউ উক্ত মাইনিং পুরস্কার পেতে পারে।
বিটকয়েনের লেনদেন সতয়তা করার জন্য এসব মাইনিং কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। যারা এ কম্পিউটারগুলো মালিক তাদেরকে বিটকয়েন মাইনর বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে বিটকয়েন মাইনিং তত একটা একটা লাভজনক নয়।
বিটকয়েন এর অসুবিধা The disadvantage of bitcoin
- বিটকয়েন যেহেতু ছদ্মনাম এবং কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না কোন কতৃপক্ষ লেনদেন সম্পর্কে তথ্য জানা থাকে না তাই যেকোনো বেআইনি কাজের ক্ষেত্রে বিটকয়েন ব্যবহার করে বিনিময় করা যায়। যা একটি দেশ এবং জাতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
- যে দেশে বিটকয়েন অবৈধ ঐ দেশে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান যদি বিটকয়েন ব্যবহার করে, সে দেশের অর্থপাচার হয় বলে সরকারের লোসকান হয়।
- আরো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এই বিটকয়েন বিনিময় হয় বলে দেশের সাইবার ক্রাইম এবং অপরাধ বেড়ে যায়। এবং দেশের অপরাধ দমন করতে সরকারের কষ্ট হয়ে থাকে।
বিটকয়েন এর সুধিধা Benefits of Bitcoin
- বিটকয়েন কারো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না বলে যে কেউ কোন সময় লেনদেন করতে পারে।
- বিটকয়েন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অর্থব্যবস্থা হয়ে উঠেছে যার ফলে যে কোন দেশে বাড়তি ফি ছাড়াই লেনদেন করা যায়।
- বিটকয়েন ডিসেন্ট্রালাইজড হওয়া বিটকয়েন ট্রানস্ফার তাৎক্ষণিক হয়ে থাকে।
- বিটকয়েন ওপেনসোর্স প্রযুক্তি হওয়ায় যে কোন লেনদেনের তথ্য দেখতে পারে যার ফলে অর্থের ম্যানিপুলেশন কোনো সুযোগ নেই ।
- বিটকয়েন নেটওয়ার্ক একই ধরনের সে জন্য যেকোনো দেশের ব্যক্তির সাথে সহজে লেনদেন করা যায়।
- বিটকয়েন নিরাপদ প্রযুক্তি হওয়ায় হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।