গ্রামীণফোন ই- সিম। বাংলাদেশের ই-সিম। ই-সিম দাম কতো।

 গ্রামীণফোন ই- সিম। বাংলাদেশের ই-সিম। ই-সিম দাম কতো।

অবশেষে চলে আসলো ই- সিম বাংলাদেশে। বাংলাদেশে ই সিম সার্ভিস টি চালু হলেও এখনো পুরোপুরি সকল অপারেটর সার্ভিসটি চালু করেনি। বর্তমানে শুধু গ্রামীনফোন কোম্পানি ই-সিম বিক্রি করছে। 25 শে এপ্রিল  2022 রোজ সোমবার ই সিম বিক্রি শুরু করেছে গ্রামীণফোন অপারেটর। দেশের সবচেয়ে বড় এই মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ই-সিম বিক্রি শুরু করল। শুধু নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে এই ই-সিম বিক্রি করা হবে প্রাথমিক দিকে পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় e sim বিক্রি কার্যক্রম শুরু করবে গ্রামীণফোন। আগে আপনারা জেনে রাখেন ই সিম সার্ভিস আপনি নিতে চাইলে অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনে e sim সাপোর্ট করতে হবে। 

গ্রামীণফোন ই- সিম। বাংলাদেশের ই-সিম। ই-সিম দাম কতো।

গ্রামীণফোনের ই সিম এর ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন এবং নতুন সংযোজন ভিত্তিতে ই সিম সেবা নিতে পারবে গ্রামীণফোনের যেকোনো গ্রাহক। আপনি চাইলে নতুন ই-সিম সংগ্রহ করে এই সেবা নিতে পারেন আবার চাইনে আপনার আপনার প্লাস্টিক সিমটি পরিবর্তন করে ই সিম নিতে পারেন। যেমন আপনি গ্রামীনফোনে যে নাম্বার এখন ব্যবহার করছেন ওই নাম্বারেই থাকবে কিন্তু আপনি প্লাস্টিক সিম কার্ডি পরিবর্তন করে ভার্চুয়াল সিম অথবা ই-সিম নিতে পারবেন। 

গ্রামীন ফোনের  ই সিমে দাম কত??  ই- সিম দাম কত?? 

প্রথম দিকে যখন ই সিমের সমপ্রচার করা হয় আমরা অনেকেই ভাবছিলাম ই সিমের দাম সাধারন প্লাস্টিক সিমের তুলনায় অনকে বেশি হবে। তবে গ্রামীণফোন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় ই সিমের দাম সাধারণ প্লাস্টিক সিমের মতই ২০০ টাকা। নির্ধারিত গ্রামীণফোন বিকেন্দ্রীয় থেকে অথবা গ্রামীণফোন অনলাইন শপ  থেকে ই সিম কেনা যাবে। আপনি যদি প্লাস্টিক সিম থেকে ই সিমের রূপান্তর করতে চান তাহলে আপনার খরচ পরে 99 টাকা রিপ্লেস ফি। আর এই ভাবে প্লাস্টিক সিমকে মাইগ্রট করা যাবে ৯৯ ফি মাধ্যমে। তবে গ্রামীণ অপারেটর তাদেরই স্টার গ্রাহকদের জন্য রিপ্লেসমেন্ট ফি লাগবে না।

আরো পড়ুন.......  ই-সিম কি?? ই-সিম সুবিধা অসুবিধা E-SIM

গ্রামীন ই সিম কোথায় পাওয়া যাবে 

আপনি নির্দিষ্ট কিছু এলাকা রয়েছে গ্রামীণফোন ই-সিম কেনার জন্য। প্রথমত গ্রামীণফোন অফিশিয়াল  অনলাইন শপ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটি এলাকায় হোম ডেলিভারি মাধ্যমে কিনতে পারবেন ই-সিম । এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামীন ই- সিমের বিক্রি করা হয় সেই বিভিন্ন অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নাম নিচে দেওয়া হলো।

  • সিলেট করিমউল্লাহ মার্কেট জিপিসি 
  • সীমান্ত স্কয়ার জিপিসি ধানমন্ডি  
  • জিপি হাউস এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার 
  • জিপি লউঞ্চ,  GEC চট্টগ্রাম 
  • উত্তর জসিমউদ্দিন রোড জিপিসি 
  • ঢাকা বিমানবন্দর জিপিসি 
  • মতিঝিল জিপিসি 
  • বসুন্ধরা সিটি জিপিসি 
  • ফার্মগেট জিপিসি 

যেহেতু প্রাথমিক দিকের এগুলো তালিকা পরবর্তীতে আরও অঞ্চলে প্রচার করবে গ্রামীণফোন   অপারেটর। 

ই সিম সাপোর্ট মোবাইল ফোন আপনার ফোন ই-সিম সাপোর্ট করে 

প্রথমেই বলেছিলাম ই-সিম ব্যবহার করতে হলে আপনাকে ই-সিম সাপোর্টেড স্মার্টফোনে (e sim supported smartphone) ফোন ব্যবহার করতে হবে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানি রয়েছে সে কোম্পানির স্মার্টফোন ব্যবহার করে E-SIM সেবাটি নিতে পারবেন। যেমন  অ্যাপেল আইফোন, apple-এর আইপ্যাড, স্যামসাং নির্দিষ্ট কিছু মডেল স্মার্ট ফোন,এবং গুগোল পিক্সেল স্মার্টফোনগুলোতে E SIM সাপোর্ট করে। তবে আরো জেনে রাখা ভালো উপরে যে কয়েকটি কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে কোম্পানিগুলোর সবগুলি মডেলের স্মার্টফোনে e sim সাপোর্ট করে না নির্দিষ্ট কিছু মডেলের স্মার্টফোনের ই-সিম সাপোর্ট করে অবশ্যই কিনার আগে গুগল-সার্চে অথবা বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নিবেন ই সিম সাপোর্ট করে কিনা যে মডেলের স্মার্ট ফোন আপনি কিনবেন।

আরো পড়ুন.......  ই-সিম কি?? ই-সিম সুবিধা অসুবিধা E-SIM

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url