ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি লাগে
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা একটি খুবই জটিল প্রক্রিয়া। তো আমি আজকে আপনাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে পুরো বিস্তারিত আলোচনা করব ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড হাতে পাওয়ার আগে কিছু প্রক্রিয়ায় রয়েছে সেগুলো কিভাবে কমপ্লিট করবেন এবং লানার অথবা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করো।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে প্রথমে শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্জন করার পরেই স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে পারবেন
প্রথমে আমরা জেনে নেই শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা লার্নার ড্রাইভিং পেতে হলে কি করতে হবে
শিক্ষানবিস অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড আপনাকে পেতে হলে অনলাইনে আবেদন করে নিতে হবে। অথবা বিআরটিসি যেকোনো অন্তর্ভুক্ত শাখায় অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন দুইভাবে করা যায়
1: অফলাইন
২: অনলাইন
অফলাই এবং অনলাইনে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব।
অফলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যে সকল ফরম চিকিৎসা সার্টিফিকেট ডকুমেন্ট অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা যাবে ডাউনলোড লিংক সবার নিচে দেওয়া থাকবে
প্রথমে অফলাইনে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয় জেনে নেই
শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য কি কি লাগবে
1: বিআরটিসি শিক্ষানবিশ আবেদনের ফরম
2: সরকারি গ্যাজেট ফার্স্ট ক্লাস ডাক্তার দারা সত্যায়িত মেডিকেল সার্টিফিকেট
3: পাসপোর্ট, জন্ম সনদ অথবা এনআইডি কার্ড যেকোনো একটি সত্যায়িত ফটোকপি
4: নির্ধারিত ফি মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার ছোট যানবাহন জন্য ৩৪৫ টাকা।
ভারী যানবাহন বাস, মালবাহী ট্রাক ৫১৮ টাকা কোন ব্যাংকে পেমেন্ট করতে হবে ব্যাংকের লিস্ট দেখতে ক্লিক করুন
5: ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের এবং ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি লাগবে
এগুলো নিয়ে আপনার নির্ধারিত বিআরটিসি অফিসে আবেদন করে আসবেন আবেদন করে আসার পর আপনাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট টাইম দেওয়া হবে ওই নির্দিষ্ট টাইম এ আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে
লিখিত মৌখিক এবং মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা দেওয়ার পর যদি পরীক্ষায় পাশ করেন তাহলে নির্ধারিত বিআরটিসি ফরম আবেদন করতে হবে।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য কি লাগবে
অনলাইন থেকে চিকিৎসা সার্টিফিকেট, আবেদন ফরম সবার নিচে লিঙ্ক দেওয়া থাকবে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
1: বিআরটিসি নির্ধারিত আবেদন ফরম
2: সরকারি গ্যাজেট ফার্স্ট ক্লাস ডাক্তার দারা সত্যায়িত মেডিকেল সার্টিফিকেট
3:পাসপোর্ট, জন্ম সনদ অথবা এনআইডি কার্ড যেকোনো একটি সত্যায়িত ফটোকপি
4: পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি ১৪৩৮ টাকা, অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২৩০০ টাকা জমার রশিদ
5: ড্রাইভিং লাইসেন্স পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন
6: 1 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
একটি স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এসমস্ত কাগজপত্র লাগে। এ সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আপনার নির্ধারিত বিআরটিসি ঠিকানায় চলে যাবেন তাহলে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা ,মাধ্যম ,ভারী ,করার নিয়ম
অপেশাদার/পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স
মোটরসাইকেল ছোটখাটো যানবাহন এগুলোকে চালাতে হালকা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে। হালকা পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই 20 বছর বয়স হতে হবে।
পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ঐ সমস্ত মোটরযান চালাতে পারবেন যে সমস্ত মোটরযানে ওজন ২৫০১ থেকে ৬৫০০ কেজি হয়ে থাকে। পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই প্রার্থীর বয়স ২৩ বছর বেশি হতে হবে।আর পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স বয়স ৩ বৎসর ব্যবহার করতে হবে তিন বছর ব্যবহার করার পরেই পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোন গাড়ি চালানো যাবে। ৬৫০১ কেজির বেশি ওজনের গাড়ি। গ্রাহক পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে গ্রাহকের বয়স ২৬ বছর হতে হবে। পেশাদার মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন বছর ব্যবহার করার পর পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। গ্রাহককে পেশাদা ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হলে। গ্রাহককে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন বছর ব্যবহার করতে হবে এবং মাধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন বছর ব্যবহার করার পর গ্রাহক পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে পারবে
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে bsp.brta.gov.bd ওয়েবসাইট ওপেন করে আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে হবে। আগের মত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের আগে প্রথমে আমাদের শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে হবে। অনলাইনে শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ লাগবে যেগুলো আমাদের স্ক্যান করে যে ডিভাইস দিয়ে আবেদন করব সে ডিভাইসে আবেদনের পূর্বে রেখে দিতে হবে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে যে যোগ্যতাগুলো প্রয়োজন
1: জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না
2: অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে হলে গ্রাহককে নিম্নে এসএসসি পাস করতে হবে
3: ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে
দুটোই জিনিস যদি না থাকে তাহলে গ্রাহক অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। গ্রাহককে অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে যা উপরে বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়েছে।
এখন ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে
অনলাইনে শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে কি কি লাগবে
1: আবেদনকারীর এক কপি ছবি 300 x 300 pixlab অবশ্যই ছবির 150 kb নিচে আপলোড দিতে হবে
2: ডাক্তারের সার্টিফিকেট স্ক্যান 600 kb নিচে থাকতে হবে
3: জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান 600 kb নিচে থাকতে হবে।
4: বিল বিল,পানির বিল গ্যাস বিল যেকোন একটা হলেই হবে স্ক্যান 600 kb নিচে থাকতে হবে
5: অনলাইনে আবেদন করার সময় নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে ফি সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে
অনলাইনে শিক্ষানবিস অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন সময় লাগবে
কিভাবে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন
1: অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে আমাদের bsp.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে ওপেন করে নিবন্ধন করতে হবে নিবন্ধন /রেজিস্ট্রেশন ক্লিক করে
2: নিবন্ধনে ক্লিক করার পর জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের যে জন্ম সাল মাস এবং তারিখ রয়েছে এনআইডি অনুযায়ী দিয়ে দিবেন যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বার 13 সংখ্যার হয় তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের সংখ্যার আগে আপনার জন্ম সালটা দিয়ে নিতে হবে । ফরম পূরণ করার পর অনুসন্ধানী ক্লিক করুন ।
3: অনুসন্ধানী ক্লিক করার পর আপনি দেখবেন আপনার কিছু ইনফরমেশন এনআইডি সার্ভার থেকে চলে এসেছে । তারপর নিচের দিকে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিয়ে খালিঘর পূরণ করে নিবেন এবং আপনার একটি পাসওয়ার্ড দিবেন আপনার একাউন্টটা সম্পন্ন করে নিতে হবে পাসওয়ার্ড দিয়ে নিচে দেখবেন নিবন্ধন করুন লেখা রয়েছে, নিবন্ধন করুন এ ক্লিক করে দিবেন।
4: নিবন্ধন ক্লিক করার পর দেখবেন আপনার অ্যাকাউন্ট সাকসেসফুল ভাবে ওপেন হয়ে গেছে এখন আপনাকে আপনার মেইল এড্রেসে গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে হবে আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস আপনি চলে যাবেন ইমেল এড্রেসে গিয়ে লিংকে ক্লিক করে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিবেন।
5: ভেরিফাই হওয়ার পর আপনার মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এড্রেস এবং একাউন্ট খোলার সময় যে পাসওয়ার্ড দিয়েছেন ইমেইল এড্রেস আর পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট লগইন ক্লিক করলে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটা ওটিপি আসবে ওটিপি টি দিয়ে verify click করবেন আপনার একাউন্ট ভেরিফাই কমপ্লিট
6: এখন আপনি ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইট লগইন করে নিবেন
7: লগইন করার পর হাতের বাম সাইডে আপনার প্রোফাইল আইকন এর সাথে নিচে দেখবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স ক্লিক করে দিবেন। ক্লিক করার পর দেখবেন অনেকগুলো অপশন চলে এসেছে সেখান থেকে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ক্লিক করে দিবেন।
8: ক্লিক করার পর দেখবেন আপনার যে সমস্ত ডকুমেন্ট আপলোড দিতে হবে সেগুলো বিস্তারিত লেখা রয়েছে আপনি পড়ে নিবেন। আমি সম্মত এখানে ক্লিক করে পরবর্তীতে অপশনে চলে যাবেন
9: আপনি যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন পেশাদার অথবা অপেশাদার সিলেট কর আপনার ছবি আপলোড দিবেন । নিচে দেখবেন সেকশন এ লেখা রয়েছে সেখানে আপনার এনআইডি কার্ড নম্বর লিখে দিবেন তার পাশে সাল মাস দিত পূরণ করে দিবেন । তারপর তার সাথেই থাকবেন অনুসন্ধান অনুসন্ধানী ক্লিক করে দিবেন। তারপর দেখবেন আপনার সকল তথ্য শো করতেছে সেখান থেকে আপনার যতগুলা খালি ঘর রয়েছে তথ্যগুলো খালি ঘর সঠিকভাবে দিয়ে দিবেন। যদি বাংলায় লিখতে বলে বাংলায় লিখবেন ইংলিশে লিখতে বললে ইংলিশে লিখবেন । এবং বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা বাংলা ইংলিশে লিখে দিবেন।
যোগাযোগের বিবরণ আপনার যোগাযোগের বিবরণ দিয়ে দিবেন। আপনার জরুরী যোগাযোগের বিবরণ এগুলো পূরণ করে দিবেন। আপনার পরীক্ষার স্থান অটোমেটিক সিলেট হয়ে যাবে।
তারপর দেখবেন সংযুক্ত ডকুমেন্ট উপরে আমরা আবেদন করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে সবগুলো আমরা সাবমিট করে দিব।
আপনার সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর আর একবার চেক করে নিবেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি সংরক্ষণ করুন এই অপশনে ক্লিক করে দিবেন।
10: তারপর আবার সবার নিচে চলে আসবেন দেখবেন নতুন একটি অপশন চলে এসেছে অনলাইনে পেমেন্ট করুন। তো আপনি অনলাইনে পেমেন্ট করলে অপশনে ক্লিক করে দিবেন। ক্লিক করার পর দেখবেন একটি নতুন ইন্টারফেস নিয়ে এসেছে। আমি আপনার মোবাইল নাম্বার ঠিক কনফার্ম করে নিবেন। নিচে দেখবেন অনেকগুলো ব্যাংক শো করতেছে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করে নিতে পারেন, আপনি বিকাশে পেমেন্ট করে দিতে পারেন। বিকাশে ক্লিক করে তারপর ট্রানসেন্ড কন্ডিশনে টিক মার্ক দিয়ে দিবেন। নিশ্চিত ক্লিক করবেন ক্লিক করার পরে বিকাশে পেমেন্ট অপশন ওপেন হয়ে যাবে তারপর আপনার বিকাশ নাম্বার দিয়ে ওটিপি দিয়ে পিন দিয়ে পেমেন্ট কমপ্লিট করে নিবেন। আপনার পেমেন্ট কমপ্লিট হওয়ার পর উপরের নটিভিশন আকারে দেখতে পারবেন পেমেন্ট রিসিট ও শিক্ষানবিশ পিডিএফ ফাইল রয়েছে ক্লিক করে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে নিবেন। ঐ পিডিএফ ফাইল আপনার পরীক্ষার তারিখ স্থান সময় সবকিছু ডিটেলস দেওয়া আছে
এভাবে আপনি অনলাইনে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন
শিক্ষানবিশ অথবা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম ডাউনলোড
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফরম ডাউনলোড
মেডিকেল সার্টিফিকেট সার্টিফিকেট ফরম ডাউনলোড
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফরম ডাউনলোড